আজ রবিবার, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দেশে এখন ধানের শীষের জোয়ার বইছে-মিনু

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
সাংগঠনিক কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি, সংসদ নির্বাচন কিভাবে করা হবে, সাতদফা দাবী আদায় এবং নির্বাচনে করণীয় বিষয় সমুহ নিয়ে গতকাল শনিবার বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নগরীর কাদিরগঞ্জস্থ একটি কমিউিনিটি সেন্টারে বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। মহানগর বিএনপি’র আয়োজনে সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য এবং জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক জননেতা মিজানুর রহমান রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সহিদুন্নাহার কাজী হেনা, মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল হুদা, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাধী শিক্ষক ফোরামের (সাদা দল) সভাপতি প্রফেসর এনামুল হক ও জাতীয়তবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মুক্তা।
অন্যদের মধ্যে বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সভাপতি শওকত আলী, মহানগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, মতিহার থানা বিএনপি’র সভাপতি আনসার আলী, শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপি’র সভাপতি মনিরুজ্জামান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, বিএনপি নেতা ও মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ওয়ালিউল হক রানা, মতিহার থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক ডিকেন, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ পারভেজ পিন্টু, সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ারুল আযিম আযব, শাহজাহান আলী, আব্দুস সোবহান লিটন, সোহরাব আলী ও নুরুজ্জমান টিটু।
এছাড়াও মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি ঈশারুদ্দিন ঈশা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, মহানগর তাঁতী দলের সভাপতি আরিফুল শেখ বনি, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউজ্জামান পরাগ, মহানগর যুবনেতা আবু আহম্মেদ লাল্টু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আনন্দ কুমার, মহানগর যুবদলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মেরাজ, মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহবায়ক এ্যাডভোকেট রওশন-আরা পপি, অধ্যাপিকা সখিনা খাতুন, নুরুন্নাহার, জরিনা, সামসুন্নাহার, মুসলিমা বেলী, গুলশান-আরা মমতা ও নাসিরা খানম, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সদস্য ইলিয়াস বীন কাশিম, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জনি, মহানগর সংগ্রামী দলের সভাপতি আনোয়ার হোসে আনন, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জ্যাকি ও নাহিন আহম্মেদসহ বিএনপি’র সাংগঠনিক সকল ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিএনপি, অঙ্গ ও সহেযাগি সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিনু বলেন, নদীতে বাঁধ দিয়ে যেমন পানি রোধ করা যায়না, তেমনি বিএনপিকে বাঁধা দিয়েও গণজোয়ার রোধ করা কোনদিন যায়নি এবং ভবিষ্যতে যাবেনা। এই নির্বাচন গণতন্ত্রের মানুষ কন্যা, বিএনপি’র চেয়ারপার্সন দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র রক্ষার নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের বিজয় নিশ্চিত করতে হলে প্রতিটি সেন্টার কঠোরভাবে পাহারা দিতে হবে। সেন্টার রক্ষিত থাকলে ২০০ এর বেশী আসন বিএনপি পাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, বিশেষ এলাকার কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করার জন্য উঠে পরে লেগে আছে। তাছাড়া দেশের ৮০ ভাগ পুলিশ ও প্রশাসন ২০১৪ সালের নির্বাচন এবং সিটি নির্বাচন চায়না। পুলিশ জনগণের বন্ধু। অতএব পুলিশকে ভয় করে নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে ঘরে বসে থাকলে চলবে না বলে জানান তিনি। প্রতিটি সেন্টার পাহারা দেওয়ার জন্য প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ডে নির্বাচনী কমিটি গঠন করার আহবান জানান মিনু। সেইসাথে নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সকল থানা এবং ওয়ার্ডের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার নির্দেশনা প্রদান করে তিনি।
বিএনপি নেতা মিলন বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি অকুণ্ঠ ভালবাসা ও সম্মতি জানিয়ে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট হয়েছে। দেশে এখন আওয়ামী লীগ সরকার হঠাও ঐক্য হয়েছে। এই ঐক্য কাজের লাগিয়ে আসছে সংসদ নির্বাচনে বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের মাধ্যমে যেই ধানের শীষের প্রতীক পাক তাঁর হয়ে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান। সেইসাথে কারো প্ররোচনার ফাঁদে পা নিয়ে, কোন ধরনের কোন্দল এবং দলাদলী না করে একতাবদ্ধভাবে নির্বাচনে কাজ করার আহবান জানান মিলন।
সভাপতির বক্তব্যে বুলবুল বলেন, বেগম খালেদার মুক্তি এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য এই নির্বাচন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন। গুরুত্ব উপলদ্ধি করে নেতাকর্মীদের সকল দ্বিধা ভূলে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান। সেইসাথে কোন প্রকার ভয় না করে পোলিং এজেন্টের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করার পরামর্শ প্রদান করেন তিনি। তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের সকল প্রকার স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে হলে পুণরায় মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে। এই যুদ্ধে জীবনবাজী রেখে নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহবান জানিয়ে সভা শেষ করেন তিনি। বক্তব্য শেষে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সুস্থ্যতা ও দেশের শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।